উখিয়ায় জমি দখল নিতে গিয়ে দুই আওয়ামী লীগের সভাপতির পরিবারের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, তাহসিন রহমান অলিদ (১৮), সালাউদ্দিন মেম্বার (৩৭), এনামুল কোভিদ টিপু (৩৩)
রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে উখিয়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সান্তোস কিচেনের সামনে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, উখিয়া উপজেলা পরিষদের গেইট সংলগ্ন সান্তোস কিচেন নামের একটি রেস্টুরেন্ট এর জায়গার মালিকানা বা স্বত্ব অধিকার নিয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজাপালং ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের পরিবারের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহত ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, সান্তোস কিচেনের পিছনের জায়গাটির মূল মালিক হলাম আমরা। কিন্তু, হেলাল সহ তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে গায়ের জোরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গাটির দখলে আছেন। হঠাৎ তারা পরিকল্পিত ভাবে দা-চুরি নিয়ে আমি সহ আমার পরিবারের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা হলেন, নুরুল আলমের ছেলে হেলাল উদ্দিন, শাহ আলমের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, তুষার মাহমুদ, আব্দুর রহমান, নাবিম, মোহাম্মদ আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফারহাদ, আরফাত, সফর মুলকের ছেলে শাহ আলম, মোহাম্মদ আলম, শফিউল আলমের ছেলে ইউসুফ শরীফ এহেসান।
এইদিকে, হেলাল উদ্দিন বলেন, সান্তোস কিচেনের জায়গাটি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে আমরা ভেগদখলে আছি। আমাদের যথেষ্ট ডুকেমেন্ট ও রয়েছে। কিন্তু মেম্বার সালাউদ্দিন রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সান্তোস কিচেনটি ভেঙ্গে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিলে আমার পরিবারের সদস্য তুহিন, তুষার, নাবিলকে গুরুতর আহত করেন। আমি প্রশাসনের কাছে এসব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এই বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বিষয়টা জানার পর ঘটনা স্থলে পুলিশের দুইটি টিম পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, আমাদের হাতে অভিযোগ আসলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পাঠকের মতামত